[vc_row pofo_hidden_markup_1507696902_2_1=”” css=”.vc_custom_1507696989698{padding: 0px !important;}”][vc_column][vc_column_text]তলাবিহীন ঝুড়ির দেশটিই এখন বিশ্বের রোল মডেল, উন্নয়নের বিস্ময়। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে দেখানো বাংলাদেশের প্রোফাইল অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় ওঠার যোগ্যতা এই মার্চেই অর্জন করেছে আমাদের এ দেশ। জাতিসংঘ বিশ্বের সব দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি), উন্নয়নশীল এবং উন্নতÑ এ তিন পর্যায়ে বিবেচনা করে। বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় রয়েছে। প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘের সিডিপি এ তালিকায় থাকা দেশগুলোর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে থাকে। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যেই তিনি দেশের উন্নয়নে নিরলস কাজ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা না ঘটলে এবং আরেকটু সময় পেলে বাংলাদেশকে আরও আগেই উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী করতে পারতেন। তবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক (ইভিআই)Ñ এই তিন শর্ত পূরণ করতে হয়, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে (৫১টি দেশ) উন্নীত হয়েছে। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ৪৬ থেকে ৪ হাজার ১২৫ ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় এখন ১ হাজার ২৭৪ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭২। এ ক্ষেত্রে ৬২ পর্যন্ত দেশগুলো এলডিসিভুক্ত, ৬৪ ছাড়ালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হয়। অর্থনৈতিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ দশমিক ২। এই পয়েন্ট ৩৬-এর বেশি হলে এলডিসিভুক্ত হয়, ৩২-এ আনার পর উন্নয়নশীল দেশে যোগ্যতা অর্জন হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে কোনো সমস্যা না হলেও বর্তমানে পাওয়া নানাবিধ বাণিজ্যিক সুবিধা হারাতে হবে আমাদের। কারণ এই অর্জনে সুবিধার পাশাপাশি থাকছে নানা চ্যালেঞ্জও। তিন বছর পর থেকেই আর থাকবে না স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে পাওয়া আগের সব সুযোগ। উঠে যাবে শুল্কমুক্ত রপ্তানি। বাড়বে বিদেশি ঋণের সুদ। থাকবে না বিদেশি ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কতটা সম্ভব হবে সে প্রশ্ন এখন অনেকের।
২.
দীর্ঘদিন স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকার পর উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ায় এবারের মার্চ মাস অন্য ধরনের গুরুত্ব নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কথাই বলেছেন। জন্মের ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা দেখাতে যাচ্ছে এ দেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুরো জাতিকে স্বাধীনতার জন্য একতাবদ্ধ করেছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত করিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর তারই যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করল বাংলাদেশ। ১৬ মার্চ (২০১৮) জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিপিডি) এক বৈঠকে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছর পর পর দুবার এটা অর্জন করলেই চূড়ান্তভাবে একটা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আমাদের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং ২০২১ সালে আবারও তা নিশ্চিত করতে হবে একই সূচকগুলো অর্জনের মধ্য দিয়ে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে আমাদের দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা। তার গতিশীল নেতৃত্ব, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক ঊর্ধ্বমুখী। কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না এই প্রতিশ্রুতি ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু একটি স্লোগানই নয়, সারাদেশের মানুষ আজ এর সুবিধা পাচ্ছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আজ আমাদের হাতিয়ার।[/vc_column_text][vc_column_text pofo_hidden_markup_1507696902_2_19=”” css=”.vc_custom_1548627315978{padding-top: 0px !important;padding-right: 0px !important;padding-bottom: 0px !important;padding-left: 0px !important;}”]৩.
আগের সূত্রানুযায়ী পুনরায় জানাচ্ছি, এ দেশ অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে কতটা অগ্রগতি করেছে সেটি মূল্যায়ন করে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক কমিটি বা সিডিপি ঘোষণা দিয়েছে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব করা হবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্থায়ী স্বীকৃতি দেয়ার জন্য। এসবই সম্ভব হচ্ছে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য হওয়ার পর যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে তাও মোকাবিলা করা যাবে তার নির্দেশনায়। ইতোমধ্যে দুর্নীতি কিংবা সুশাসনের প্রসঙ্গ যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি সামনে নিয়ে এসেছেন তারা এও জানেন একমাত্র শেখ হাসিনাই যোগ্যদের দ্বারা শাসনক্ষমতা পরিচালনা করেন। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না। আসলে শাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সরকারের সাফল্য নির্ভর করে শক্তিশালী নেতৃত্বের ওপর। শেখ হাসিনা প্রকৃতপক্ষে আলাদা, ভিন্ন, স্বতন্ত্র ও নেতৃত্বের গৌরবজনক আসনে সমাসীন। তিনি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করেছেন; সংকট উত্তরণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি জনতার আকাক্সক্ষাগুলো এবং টিকে থাকার বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধের সাহায্যে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে এনেছেন। তার নেতৃত্বের সাফল্যে বাংলাদেশ আজ গৌরবজনক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৭৪ সালে মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাস্তবতায় ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে আমেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ ধরনের মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে পরামর্শ দেনÑ বাংলাদেশকে কোনো প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা না করার জন্য। তাদের বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্রের পরও বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে বিশেষ অবস্থানে পৌঁছেছে। এ কারণে শেখ হাসিনার শাসনামলেই কিসিঞ্জারের পরবর্তী নেতারা ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি ওবামা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশকে বিশ্বের মডেল এবং বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা ‘এশিয়ার টাইগার’ বলে মন্তব্য করেছেন। তারা উভয়ে এ ধরনের মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের নানামুখী সাফল্য ও উন্নয়নের জন্য। আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়েছে এটা হিলারি ও ওবামার পূর্বপুরুষরা কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেক বলেছেন, বাংলাদেশ এশিয়ার একটি মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ২০১২ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রদূত মজিনা বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ দেশ হবে বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ, বিশেষ করে ওষুধশিল্প, তৈরি পোশাক, তথ্যপ্রযুক্তি, হিমায়িত মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে এশিয়ার টাইগার। তিনি আরও বলেন, কৃষি এবং শিক্ষা খাতে বাংলাদেশে বিপ্লব হবে। এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারদীপ্ত নেতৃত্বের কারণে।
৪.
বর্তমান প্রজন্মের কাছে শেখ হাসিনা এক আশ্চর্য সাহসী রাজনীতিকের নাম; যার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে তৃণমূলে তথ্যপ্রযুক্তি প্রসার, সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন, সর্বসাধারণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে সমাজে অবহেলিত মানুষের জীবনধারার মানোন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতি এবং সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশ এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষিণের দেশগুলোর সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্রে বাংলাদেশ এখন অনন্য। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে দারিদ্র্যের হার দ্রুত কমে এসেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ও দুস্থ ভাতা, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের জন্য ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী, ভর্তুকি মূল্যে খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি, ভিজিডি, ভিজিএফ, টেস্ট রিলিফ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সহায়তা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।
গ্রামীণ জীবনের ব্যাপক রূপান্তরে শেখ হাসিনার অবদান অতুলনীয়। তার নেতৃত্বেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু রয়েছে। এসব তথ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিভিন্ন সরকারি ফরম, নোটিশ, পাসপোর্ট ও ভিসাসংক্রান্ত তথ্য, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন সেবাবিষয়ক তথ্য, চাকরির খবর, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, বিদেশে চাকরিপ্রাপ্তির লক্ষ্যে রেজিস্ট্রেশনসহ ২২০টি সেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উপরন্তু মোবাইল ব্যাংকিং, জীবন বীমা, মাটি পরীক্ষা ও সারের সুপারিশ, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ এবং জমির পর্চাসহ অন্যান্য সেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রায় ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা ও জেলা হাসপাতালগুলোতে মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা টেলিমেডিসিন সিস্টেমসহ আধুনিকমানের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। মোবাইল টেলিফোন সিমের সংখ্যা ১৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে আর থ্রিজির পর ফোরজি প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এসবই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সোপান। অন্যদিকে আমাদের মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ উদ্যোগের আওতায় পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। উপরন্তু এ দেশ মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার, পরিবেশ ও সুশাসন বিষয়ে ইইউর নিয়মকানুনের শর্ত পূরণ করলে জিএসপি প্লাস নামে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো ইইউতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পায়। বাংলাদেশকে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। অন্যদিকে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া না গেলে বিমসটেক, বিবিআইএনের মতো আঞ্চলিক উদ্যোগের সুবিধা কিভাবে কার্যকরভাবে নেয়া যায় তার প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিযোগিতার সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। কেননা শুল্কমুক্ত সুবিধা না থাকলে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা বেশ কঠিন হবে।
৫.
বাংলাদেশ এখন বিশ্বসভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে। তবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে প্রধান হলো দুর্নীতি, সুশাসন ও দারিদ্র্য। দুর্নীতি ও দারিদ্র্যের চক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে ঋণ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা, স্থানীয় ও জাতীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতায়ন, নাগরিকদের অর্থনৈতিক সচেতনতা ও মিডিয়ার স্বাধীনতা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সরকারের সদিচ্ছায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশে গড়ে উঠবে দুর্নীতিমুক্ত ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি। আর মানুষের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা বিধান করবে রাষ্ট্র। কারণ আজ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। আমরা এসডিজির সঙ্গে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনাকে একীভূত করেছি। এসডিজি বাস্তবায়নেও আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ মুহূর্তে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি এ দেশের জন্য গৌরবের। জাতি হিসেবে আমরা চাই নিজেদের মর্যাদা ও গৌরব প্রতিষ্ঠিত করতে। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিম-লে সম্মানিত করবে। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হব।
লেখক : অধ্যাপক এবং পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়[/vc_column_text][pofo_separator desktop_height=”1px” desktop_width=”100%” pofo_hidden_markup_1507723604_2_15=”” pofo_hidden_markup_1507696902_2_8=”” pofo_sep_bg_color=”#ededed” pofo_separator_height=”1px” css=”.vc_custom_1507723650128{margin-top: 8% !important;margin-bottom: 8% !important;}”][/vc_column][/vc_row]