মুক্তিযুদ্ধোত্তর ১৯৭২ সালে ১৮ জানুয়ারি ডেভিড ফ্রস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান এবং মুসলমান একবারই মাত্র মরে, দু’বার নয়। আমি মানুষ। আমি মনুষ্যত্বকে ভালোবাসি। আমি আমার জাতির নেতা। আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি।’
অন্যত্র বলেছেন, ‘ওরা নিজেরা নিজেদের মুসলমান বলে। অথচ ওরা হত্যা করেছে মুসলমান মেয়েদের। আমরা অনেককে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। আমাদের ত্রাণ শিবিরে এখনো অনেকে রয়েছে।’ পরবর্তী সময় বাংলাদেশে ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব তারই।
মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় ধর্ম ছিল ইসলাম এবং হযরত মুহম্মদ(স.) তার পরম শ্রদ্ধেয় মহামানব, পয়গম্বর ছিলেন। কিন্তু অন্য সব ধর্মের প্রতিও তার শ্রদ্ধা ছিল। তিনি ছিলেন প্রকৃত প্রস্তাবে একজন একনিষ্ঠ মানব পূজারি। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত সেই কল্যাণধর্মের তিনি ছিলেন উপাসক।
একজন মুসলমান হয়েও এই কল্যাণধর্মের উপাসক হওয়া যায় এতে তার কোন মানসিক বিরোধ ঘটেনি। কেননা তার মতে, ইসলাম মানব-কল্যাণ চেতনার উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ কারণেই একজন যথার্থ বাঙালি এবং একজন মুসলমান হওয়ার পথে কোনোদিন তিনি কোনো বিরোধের সম্মুখীন হননি। তিনি যে বাঙালি এজন্য গর্বিত, আবার তিনি যে মুসলমান এজন্যও তার গর্ব কম ছিল না। অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস ১৯৭০ সালের রমজান মাসে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিদিন রোজা রাখতে দেখেছেন। তবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মনে প্রাণে বাঙালি। একারণে মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি পর্বে দলের বিশ্বাস ও নিজের জীবন দর্শনকে একীভূত করে নিয়েছেন তিনি।
১৯৭০ -এর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে শাসনতন্ত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য অংশে ইসলাম ও সংখ্যালঘু সম্পর্কে বলা হয় : ক) জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের প্রিয় ধর্ম হলো ইসলাম। আওয়ামী লীগ এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শাসনতন্ত্রে সুস্পষ্ট গ্যারান্টি থাকবে যে পবিত্র কোরআন ও সুন্নায় সন্নিবেশিত ইসলামের নির্দেশাবলীর পরিপন্থী কোনো আইন পাকিস্তানে প্রণয়ন বা বলবৎ করা চলবে না।
শাসনতন্ত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পবিত্রতা রক্ষার গ্যারান্টি সন্নিবেশিত হবে। সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ খ) সংখ্যালঘুরা আইনের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ সমান অধিকার ভোগ করবে। নিজেদের ধর্ম পালন ও প্রচার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনায় এবং নিজ নিজ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় শিক্ষাদানের ব্যাপারে সংখ্যালঘুদের অধিকার শাসনতান্ত্রিকভাবে রক্ষা করা হবে।
স্বীয় ধর্ম ব্যতীত অন্য যে কোনো ধর্ম প্রচারের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তিকে কর দিতে বাধ্য করা হবে না। নিজ ধর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হলে কোনো ব্যক্তিকে ধর্মসম্পর্কীয় কোনো নির্দেশ গ্রহণ অথবা কোনো ধর্মীয় উপাসনা বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা হবে না।’
২.
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন
ছিল শোষণহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলা। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৭২ সালে
১০ জানুয়ারির ভাষণে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে। আর তার
ভিত্তি কোনো ধর্মীয়ভিত্তিক হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র,
সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা(পরবর্তীকালে সংযোজিত হয়েছিল জাতীয়তাবাদ)।’
ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি ছিল অনিবার্য।
যার যার ধর্ম তার তার ধর্ম নিরপেক্ষতার এই ব্যাখ্যা বঙ্গবন্ধুই প্রথম উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে ধর্মকে পৃথক করে স্বাধীনতা দান করা দরকার। অবশ্য এই স্বাধীনতার অর্থ অন্য ধর্মের প্রতি হস্তক্ষেপের অধিকার নয় বা ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা নয়। ভারতবর্ষের দাঙ্গার অভিজ্ঞতা বঙ্গবন্ধুর ছিল। ধর্মের নামে হানাহানির ঘটনা দেখেছেন তিনি।
পাকিস্তানী শাসনামলে ধর্মকে সামনে রেখেই পাকিরা বাঙালিকে শাসন ও শোষণ করেছে। এজন্য সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করলেও বঙ্গবন্ধু ধর্মান্ধতাকে ঘৃণা করতেন। ধর্মকে মেনে নিয়ে উদারনৈতিক চিন্তাধারায় অভ্যস্ত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সব ধর্মের সহাবস্থান এবং বদ্ধ চিন্তার মুক্তিতেই ধর্মনিরপেক্ষতা পূর্ণতা পায়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুসলমান দেশগুলো ছিল আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে। এমনকি তাদের অনেকেই আমাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে। তবু বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রীয় নীতির প্রসঙ্গে বললেন, ‘সকলে জেনে রাখুন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের স্থান চতুর্থ। ইন্দোনেশিয়া প্রথম ও ভারত তৃতীয়। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাস, পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনী ইসলামের নামে এ দেশের মুসলমানদের হত্যা করেছে, আমাদের নারীদের বে-ইজ্জত করেছে।
ইসলাম ধর্মের অবমাননা আমরা চাই না। আমি স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, আমাদের দেশ হবে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক দেশ। এ দেশের কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে। যার যা ধর্ম তা স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালন করবে।’ মুসলিম দেশগুলোর মুক্তিযুদ্ধ বৈরী ভূমিকার প্রেক্ষাপটে ধর্মনিরপেক্ষ স্থপতির এই বক্তব্য ছিল কূটনৈতিক বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টির পরিচায়ক।
কারণ মুসলিম দেশগুলোর স্বীকৃতির দরকার ছিল। এজন্য দেখা যায় যে, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের মধ্যে বিশ্বের ১৩৪টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ৭৪-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ‘ইসলামি সম্মেলন সংস্থা’র সদস্য হয়। ৭৪-এর ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে গৃহীত হয়। ৭৪-এর ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাংলায় ভাষণ দেন। এভাবে তার যোগ্য নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হয়।
৩.
শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারির রেসকোর্স ময়দানের সংবর্ধনায় ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি
পান। একই সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী
লীগের আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘…জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি…
আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তানে’র
পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’।
অর্থাৎ বাংলাদেশের ইতিহাস ও শেখ মুজিব দুটো অবিচ্ছিন্ন সত্তা হয়ে ওঠে। একটিকে ছাড়া অন্যটি অসম্পূর্ণ। তার ব্যক্তিচরিত্র একটি অখণ্ড সংগ্রামের ইতিহাস হিসেবে চিহ্নিত। তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির ভাষণে তিনি বলেন, আমি মুসলমান। আমি জানি মুসলমান মাত্র একবারই মরে। তাই আমি ঠিক করেছিলাম, আমি তাদের নিকট নতি স্বীকার করবো না। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলবো আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।’
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর খসড়া সংবিধান প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন তাতে ছিল : ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে; মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে; খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ- যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, বাংলার মানুষ ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চায় না।
রাজনৈতিক কারণে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে, তাহলে বাংলার মানুষ যে তাকে প্রত্যাঘাত করবে, এ আমি বিশ্বাস করি।’(বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পৃ. ৩২)
১৯৭২ সালে ৪ নভেম্বর পুনরায় বলেন : ‘জনাব স্পীকার সাহেব, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মকর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করবও না। … ২৫ বৎসর আমরা দেখেছি, ধর্মের নামে জুয়াচুরী, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেঈমানী, ধর্মের নামে খুন, ধর্মের নামে ব্যাভিচার- এই বাংলাদেশের মাটিতে এ সব চলেছে।
ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না। যদি কেউ বলে যে, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি।’(বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পৃ ৪৬)
পরবর্তী সময় মুজিববাদের মূল নীতিতে বলা হয় সমন্বয় ধর্ম বাঙালির রক্তের ধর্ম। বিভিন্ন গোত্রের মিলনে বাঙালি জাতির সৃষ্টি। আমাদের রক্তের প্রবাহে সমন্বয় সাধন হয়েছে। মুজিববাদ বাংলাদেশে সমাজ বিপ্লবের দর্শন হিসেবে খ্যাত হয়। এই মুজিববাদের সমর্থক না হলেও সৈয়দ আলী আহসান বঙ্গবন্ধুকে ইসলামের স্বপক্ষের এক প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বঙ্গবন্ধুর নিজের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে।
ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে পাকিস্তান আমলে ইসলাম বিরোধী বহু কাজ হয়েছে। রেসের নামে জুয়াখেলা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত ছিল, আপনারা আলেম সমাজ কোনোদিন এর প্রতিবাদ করেননি। ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাহায্যে প্রকাশ্যে জুয়াখেলা চলত, এগুলো বন্ধ করার কোনও আন্দোলন আপনারা করেননি। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করবার কথা বারবার বলেছেন।
ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় জুয়া এবং মদকে যে হারাম ঘোষণা করতে হয় সেটা আপনারা জানতেন, কিন্তু আপনারা এগুলোর বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। আমি ক্ষমতায় এসে প্রথমেই ঘোড়দৌড় বন্ধ করে দিয়েছি, পুলিশকে তৎপর হতে বলেছি শহরের আনাচে-কানাচে থেকে জুয়াড়িদের আড্ডা ভেঙে দিতে। আমি ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলি, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্ম বিরোধিতা নয়। আমি মুসলমান, আমি ইসলামকে ভালোবাসি। আপনারা আমাকে সাহায্য করুন, দেখবেন, এদেশে ইসলাম-বিরোধী কর্মকাণ্ড কখনই হবে না।’(সৈয়দ আলী আহসান, বঙ্গবন্ধু: যেরকম দেখেছি)
এই লেখায় সৈয়দ আলী আহসান আরো উল্লেখ
করেছেন যে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন শরীফের আওয়াজ শুনতে
চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু, মুসলমানরা খুশী হলে মিলাদ পড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন
তিনি। আর মাদ্রাসা শিক্ষার বরাদ্দ কখনও বাতিল করেননি তিনি।
মূলত
বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে, জাতির জনক হিসেবে ইসলামের
সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিধানে অন্য সব ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত
করেছেন।
প্রথাবদ্ধ, ধর্ম-শাসিত সংস্কারাছন্ন জীবন তিনি পছন্দ করেননি। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার জন্য ধর্মের গণ্ডি ভেঙে প্রগতির পথে অগ্রসর হওয়ার পক্ষে ছিল তার নীতি আদর্শ। বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত রূপটিকে ধরতে চেয়েছেন তিনি তার রাষ্ট্র পরিকল্পনায়, সংবিধান প্রণয়নে। আর এখানেই বঙ্গবন্ধু চির স্মরণীয় একটি নাম।
ড. মিল্টন বিশ্বাস : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।