বুধবার, সকাল ৭:২৩ ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বঙ্গবন্ধু নদী হয়ে শুয়ে আছেন বাংলার মাটি ভালোবেসে
/ ৩৯৬ বার
আপডেট : বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

১৪ আগষ্ট, ২০১৫

বাংলাদেশের প্রমূর্ত রাজ, বাঙালি হূদয়ে সঞ্চারিত অগ্নিশিখা, আদর্শ ও স্মৃতির জাগ্রত কণ্ঠস্বর, স্বপ্নদীপ্ত ভবিষ্যতের সারথি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিশে আছেন শত কোটি প্রস্ফুটিত পুষ্পের বিস্ময়ে। তাঁর নাম, স্মৃতি ও জীবনের অনুপুঙ্খতা নিয়ে অসামান্য নৈপুণ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে নান্দনিক অভিব্যক্তিসমূহ। মূলত তিনি নিজে নিবিড় জনসংযোগের মধ্য দিয়ে ‘রাজনীতির কবি’ হয়েছিলেন বলেই তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য আলোড়িত, মথিত। জীবদ্দশায় যেমন তেমনি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনার পর তিনিই হয়ে ওঠেন নন্দন বিশ্বের অনুপ্রেরণার উত্স। মানুষকে তিনি বড় বেশি বিশ্বাস করতেন, বড় বেশি সারল্যে মাখা ছিল তাঁর ব্যক্তিজীবন। একদিকে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করা অন্যদিকে দেশের উন্নয়নে, মানুষের অগ্রগতির চিন্তায় উন্মুখ বঙ্গবন্ধুর দিনগুলো এক-একটি কবিতা, তাঁর পুরো জীবন এক-একটি উপন্যাস আর তাঁর হাসি-কান্নার মুহূর্তগুলো এক-একটি ছোটগল্পের প্রেরণা। তাঁর তর্জনি উঁচিয়ে ভাষণ দেওয়া, পাইপ ও চশমার অনন্য মুখচ্ছবি চিত্রকলার বিশিষ্ট উদ্দীপনা। আর তাঁর প্রকৃতি, পশুপাখি ও শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ শিশু-কিশোর সাহিত্যের উত্স। এভাবে দেখলে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রভাব ভেতর থেকে উদ্ঘাটন করা সম্ভব। 
‘মুক্তিযুদ্ধ’ বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনের জন্য এদেশবাসীকে ঝঞ্ঝা উত্তাল দিন পার করতে হয়েছে। যার কেন্দ্রে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় ঘটনা বিশ্ববাসীকে স্তব্ধ করে দেয়। একুশ ও মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে যে সাংস্কৃতিক চর্চার দ্রুত বিকাশ ঘটেছিল তা থমকে দাঁড়ায় পঁচাত্তরের খুনিদের উল্লাসের নিচে। একাত্তরের ষড়যন্ত্রকারী পরাজিত শক্তির চক্রান্ত স্বাধীন সার্বভৌম দেশকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসের করতলে, স্বৈরশাসকের হাতের মুঠোর ভেতর। বন্ধ হয়ে যায় মুক্তবুদ্ধির সকল শিল্পচর্চা। এমনকি বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর ভীতসন্ত্রস্ত খুনিরা রাষ্ট্রপতির জনপ্রিয়তাকে মুছে ফেলার জন্য তড়িঘড়ি জন্মভিটা টুঙ্গিপাড়ায় কবরস্থ করে। বত্রিশ নম্বর থেকে  জন্মভিটা টুঙ্গিপাড়ায় তাঁকে পাঠানো হলো ঠিকই, কিন্তু জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব আরো বেশি প্রেরণার উেস পরিণত হয়ে উঠলেন। তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে বাঙালির সংস্কৃতি, বাংলা ভাষা, বাংলার মানুষের অসাম্প্রদায়িক চেতনাসহ সকল সুকৃতি। এসবই প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যে, রেখা-ভাষা-ছন্দে-সুরে। উল্লেখ্য, কেবল বাংলা নয় ইংরেজি, উর্দু, মনিপুরি, জার্মান ভাষায় মুজিব বন্দনা রচিত হয়েছে। দেশের গণ্ডি অতিক্রম করে মুজিবের আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠার দৃষ্টান্ত আছে তাঁকে কেন্দ্র করে অন্য ভাষার কবি-সাহিত্যিকদের রচনায়; বিশ্ব দরবারে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ববহ স্বীকৃতির মধ্যে। 
বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় তাঁকে কেন্দ্র করে গান লেখা হয়েছে, রাজনৈতিক পোস্টারে মুদ্রিত তাঁর প্রতিকৃতি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। একাত্তরে গণসংগীতের মূল স্তম্ভ ছিলেন তিনি। ১৫ আগস্টের পর চিত্রকলার অজস্র তুলির আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো আর মুখাবয়বের পেলবতা। ডাকটিকেট আর ম্যুরাল-ভাস্কর্যে তাঁর উপস্থিতি ক্রমাগত বাড়ছে। ছোটগল্পের বিষয়বস্তুতে সচেতনভাবে তাঁকে উপস্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রায় পঞ্চাশটির অধিক গল্প রচিত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আবুল ফজল : মৃতের আত্মহত্যা, নিহত মুখ, ইতিহাসের কণ্ঠস্বর, কান্না; সৈয়দ শামসুল হক : নেয়ামতকে নিয়ে গল্প নয়; ইমদাদুল হক মিলন : রাজার চিঠি, মানুষ কাঁদছে, নেতা যে রাতে নিহত হলেন, মানুষ বড় কাঁদছে; রশীদ হায়দার : এ নহে পতন; সৈয়দ ইকবাল : একদিন বঙ্গবন্ধু, স্পর্শ; আবু ইসহাক : স্বপ্ন-সংবাদ; হুমায়ুন আজাদ : যাদুকরের মৃত্যু; অসীম সাহা : ভ্রূণ; আহমাদ মাযহার : বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গল্প (রাজা)। প্রথম গল্প ‘মৃতের আত্মহত্যা’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর সাহিত্য সাময়িকী ‘সমকাল’-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের দু’বছর পর। ‘মৃতের আত্মহত্যা’ গল্প লেখার মাধ্যমে আবুল ফজল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম সাহিত্য প্রতিবাদের সূচনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসে বঙ্গবন্ধুর পূর্ণাঙ্গ উপস্থিতি লক্ষণীয়। এই মহান নেতাকে নিয়ে এ পর্যন্ত রচিত হয়েছে ছয়টি উপন্যাস। উপন্যাসের ক্ষেত্রে সেলিনা হোসেন ‘আগস্টের একরাত’ (২০১৩)-এ একটি যুগের সমগ্র ইতিহাস পরিবেশন ও পর্যালোচনা করতে চাননি। বঙ্গবন্ধুর শক্তিমান, তীক্ষধী, কূটনৈতিক ও সাহসী ভূমিকা, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ও জাতির জীবনে মুক্তিঅন্বেষী মুজিবকে ঐতিহাসিক করে তুলেছেন তিনি। উপন্যাসের প্রধান ঘটনা ও তার পটভূমি ঐতিহাসিক। আনিসুল হকের ‘যারা ভোর এনেছিল’ (২০১২) এবং ‘ঊষার দুয়ারে’ (২০১৩) দুটি উপন্যাসের মুখ্য চরিত্রগুলো ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। ঐতিহাসিক চরিত্র অনেক সময় ইতিহাসসম্মত আচরণ না-ও করতে পারে। কারণ ঔপন্যাসিক গল্প লিখতে বসেছেন। তাঁর উপন্যাসে ইতিহাসের ঘনঘটার পাশে ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমির কথোপকথন ব্যক্তিগত জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিক বিষয়ের সঙ্গে কাল্পনিক প্রেমকাহিনি বুনে দিয়েছেন সৈয়দ শামসুল হক তাঁর ‘দুধের গেলাশে নীল মাছি’ (১৯৯৫) উপন্যাসে। ইতিহাসের ঘূর্ণাবর্তে ব্যক্তি মাহতাব অনন্য হয়ে উঠেছেন। তবে বঙ্গবন্ধু কালের গণ্ডি অতিক্রম করে সর্বকালীন হয়ে উঠেছেন। এক্ষেত্রে খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ (২০১৩) উপন্যাসে। যদিও নির্মাণকুশলতায় ঐতিহাসিক বিষয় ও চরিত্রসমূহের কাঠামোটিকে লেখক উপন্যাসের প্রাণস্পন্দনে তুলে ধরেছেন। মহিবুল আলমের ‘তালপাতার পুঁথি’ (২০১৫) সাম্প্রতিক উপন্যাসের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে  মোস্তফা কামালের ‘জনক জননীর গল্প’ উপন্যাসের স্লোগানে জাতির পিতার সরব উপস্থিতি রয়েছে—‘তোমার দেশ আমার দেশ,/ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।’/ ‘এক নেতার এক দেশ/ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ এখানে ঔপন্যাসিক দেখিয়েছেন—বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের চোখে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ পক্ষান্তরে বাঙালির কাছে তিনি ‘গ্রেট লিডার’।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আত্মত্যাগকে স্বাধীন বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের কবিরা। আসলে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর দেশের মানুষের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধু বীর, শ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহানায়ক, মহামানব। এই মহামানবকে বন্দনা করে কবিতা রচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। মানব-মানবতা ও মুক্তির দিশারি বঙ্গবন্ধু কবি-শিল্পী-সাহিত্যিককে উত্সাহী করেছেন স্বাভাবিকভাবে। কারণ মানবমুক্তির গান কবি-সাহিত্যিকদের প্রধান অবলম্বন। এজন্য মহামানবের মাঝে প্রেরণা অন্বেষণ করে জাতি ও জনতাকে মুক্তির পথে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রয়েছে কবিতা ও ছড়ায় বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপনের মাধ্যমে। শেখ মুজিব ‘বঙ্গবন্ধু’ হওয়ার আগেই তাঁকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু হয়। নির্মলেন্দু গুণ ও জসীম উদ্দীন ষাট-সত্তর দশকে তাঁকে কাব্যের ভেতর দিয়ে বাঙালির মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে পরস্ফুিট করেছেন। কবিদের কাছে একাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক হয়ে গিয়েছিল। ষাট ও সত্তর দশক ধরে বিশ্বব্যাপী মুক্তিপাগল মানুষের তেজোদীপ্ত প্রতীক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর দেশের বৈরী পরিবেশে কবিরা স্মরণ করেছেন তাঁকে। পঁচাত্তরের পর রাজনৈতিক পট পালটে গেলেও মুজিবের অনুপস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মেনে নিয়ে কবিতা লিখেছেন কবিরা। কবি বলেছেন—‘বাঙালির শুদ্ধ নাম শেখ মুজিবুর রহমান’। আমাদের গৌরব ইতিহাস লুণ্ঠিত করার প্রতিবাদই উচ্চারিত হয়েছে তাঁকে নিয়ে রচিত কবিতায়। সেই সময়ের সমাজ-সংস্কৃতিতে স্বৈরশাসকের অনিবার্য প্রভাব থাকলেও প্রতিবাদী কবিতার ধারার শক্তিশালী বিকাশ বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করেই বিস্তৃত হয়েছে। কবিতা রচিত হয়েছে—৭ই মার্চের ভাষণকে নিয়ে, তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ড, তাঁর বাসগৃহ বত্রিশ নম্বর বাড়ি, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে একীভূত করে। অর্থাত্ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যে সময়ে বঙ্গবন্ধু একটি নিষিদ্ধ নাম, বিশেষত সামরিক শাসকদের সময় যখন তাঁর নাম উচ্চারণই রাষ্ট্রদ্রোহিতা মনে করা হতো; সেই সময় রচিত হতে থাকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা, ছড়া, গল্প, সংগীত, চিত্রকলা, উপন্যাস।
কবিতায় বঙ্গবন্ধুর নাম প্রথম উচ্চারিত হয় নির্মলেন্দু গুণের কবিতায়। তাঁর একাধিক কবিতা কিংবা বলা চলে সবচেয়ে বেশি কবিতায় বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গ উচ্চারিত হয়েছে। কামাল চৌধুরী ১৯৭৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রচনা করেন ‘জাতীয়তাময় জন্মমৃত্যু’ কবিতাটি। অবশ্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রথম কবিতা রচনা করেন নির্মলেন্দু গুণ। ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য তরুণ গোষ্ঠীর একুশের স্মরণিকা ‘এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়’ প্রকাশিত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এটি ছিল প্রথম প্রতিবাদী কবিতার সংকলন। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে কাজটি ছিল দুঃসাহসিক। এ সংকলনটি ছিল ৩০টি ছড়া ও কবিতার সমাবেশে সামরিক শাসনকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অসাধারণ নিদর্শন। সেখানে ভীষ্মদেব চৌধুরীর ‘পিতা : তোমার জন্যে’ একটি অনন্য কবিতা প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের প্রায় সকল কবিই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন তবে মানসম্মত কবিতার সংখ্যা কম। মনজুরে মওলা, মহাদেব সাহা, অসীম সাহা, আসাদ মান্নান, নাসির আহমেদ, কিংবা আবু হাসান শাহরিয়ার (তাঁর দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু ‘নক্ষত্রমানব’) অনেক উঁচু মানের কবি। খালেদ হোসাইন, মিনার মনসুর, শামীম রেজা, আমিনুর রহমান সুলতান, সৌরভ জাহাঙ্গীর, তপন বাগচী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একাধিক ভালো কবিতা লিখেছেন।
ছড়াকাররা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে মহিমান্বিত করেছেন। অন্নদাশঙ্কর রায়ের বিখ্যাত রচনা ‘যতদিন রবে’ থেকে শুরু করে শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, বেবী মওদুদ, লুত্ফর রহমান রিটন, আমীরুল ইসলাম, আসলাম সানী, স. ম. শামসুল আলম, আহমদ মাযহার, সুজন বড়ুয়া, আখতার হুসেন, ফারুক নওয়াজ, সুকুমার বড়ুয়া, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, আলী হাবিব প্রমুখ ছড়া রচয়িতা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চরণে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেছেন। আলী হাবিব রচিত ‘জাতির জনক তিনি’ একটি উল্লেখযোগ্য ছড়া। গল্প-উপন্যাস-কবিতা-ছড়া ছাড়াও অজস্র সংখ্যক প্রবন্ধ-নিবন্ধ এবং আবদুল গাফফার চৌধুরীর ‘পলাশি থেকে ধানমণ্ডি’সহ আরো কয়েকজন নাট্যকারের কয়েকটি নাটক বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে রচিত সাহিত্যকর্ম। স্বল্প পরিসরের কারণে সেসব সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে হলো।      
বস্তুত জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রামের কাহিনি নিয়ে শিল্প-সাহিত্য পরিবেশিত ও রচিত হয়েছে। ৭৫-এর সেই পাশবিক নৃশংসতায় প্রাণপুরুষ চির আরাধ্য কর্ণধারকে হারিয়েছি আমরা। সেই দুঃসময় পরবর্তী দিনগুলোতেও মানুষের ভালোবাসা প্রদর্শন থেমে থাকেনি। মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে তাঁর নামে। শোষিত জনতার নেতা বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যের মাধ্যমে সেই জনতারই আপনজন হয়ে উঠেছেন তিনি।

http://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/ittefaq-shamoeki/2015/08/14/66134.html
আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Total Post : 31